May 14, 2019, 8:49 AM, Hits: 618
এখনই বন্ধ করনা আাঁখি --------ফজলুল কাদির পান্না (নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুশয্যার পার্শ্বে বসে তাঁর পিতার জবানীতে লেখা এই কবিতা) মারে এখনই বন্ধ করনা আঁখি, তোমার যে অনেক কাজ রয়ে গেছে বাকী। প্রতিবাদের তীব্র ঝড় তুলে রক্ত জমাট বিদ্রোহী দুটি চোখ বন্ধ করার সময় নয় এখন। যমদূত যদি আসে, তাকে দুঃসাহসে বলে দাও ফিরে যাও তুমি ফিরে যাও জাননা সত্যকে ভালবেসে নতুন প্রভাতে জাগে যে প্রাণ, প্রতিবাদে সেতো মৃত্যুস্পর্শা মৃত্যুঞ্জয়ী এখনও যে অনেক কাজ রয়ে গেল বাকী একদম বন্ধ করা যাবেনা আঁখি ওরা তোমাকে পোড়ায়নি, পুড়িয়েছে বাংলাদেশ ওরা পুড়েছে সতের কোটি অন্তর। জান তোমার নাম এখন প্রতিটি ঘরে, ফুটপাথে চায়ের দোকানের আড্ডায়, মিডিয়ার সবগুলো টিভি চ্যানেলের টকশোতে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মুখেও দেশের প্রতিটি মাতার, প্রতিটি পিতার সন্তান তুমি। যারা তোমায় পুড়িয়েছে তাদের কোন দেশ নেই, রাজ্য নেই ওরা নৈরাজ্যের নাগরিক ওদের কোন ধর্ম নেই অমানবিকতাই ওদের ধর্ম যে আগুন ঝলছে দিয়েছে তোমার শরীর সে আগুন জ্বেলে পুড়ে ছাড়খার করে দেবে ওদের একদিন, ওরা হবে ইতিহাসের পাতায়, জঘন্য পিশাচ ঘৃনায় মলিন ওরা এ যুগের কেউ নয়। ওরা মধ্যযুগের বর্বর সমাজের বংশধর বিষধর নাগিন হয়ে ভাসছিল সাগরের মোহনায় বিদ্রæপের হাসি হেসে ¯্রােতের প্রতিক‚লে বহুকাল সম্প্রতি পেয়েছে উপক‚ল-অনুক‚ল। বাইরে এখন হাজারো মানুষ ফুলফোটা ভোরের আলোয় উজ্জীবিত তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে প্রতীক্ষায় শান্তির শোভা যাত্রা হবে তোমাকেই এখন খুব বেশী প্রয়োজন ওদের নিজ হাতে পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করে দাও ঘৃনা নয় হিং¯্রতা নয়, ভরে যাক পৃথিবী প্রেমে ভালবাসায় সে অঙ্গীকারের প্রদীপ জ্বালো সকল প্রাণে। যে অনলে ঝলসে গেছে তোমার শরীর একটি দিয়াশলাইর কাঠি দিয়ে জ্বালো শিখা অনির্বাণ অনন্ত দিন জ্বলবে নান্দনিক প্রত্যয়ে জানিয়ে দাও আগুন শুধু শরীর পোড়ায় না আগুন ধ্বংস করে অশুভ শক্তির উন্মাদনা প্রাণের মাঝে উষ্ণতা আনে চ ল চ ল গতি ছন্দময় দহনের রূপ কাকে বলে জানুক বিশ্ব জানুক সকলে। তাই আজ আমি তোমার শিয়রে পিতার অধিকার নিয়ে বলছি অথরিটি নিয়ে বলছি মাগো এখনই বন্ধ করনা আাঁখি তোমার যে অনেক কাজ রয়ে গেছে বাকী