প্রবাসী লেখকদের কলাম
যুথিকা বড়ুয়া,টরন্টো, কানাডা : মনের ভাব প্রকাশ করার জন্যই বিধাতা আমাদের দিয়েছেন কথা বলার শক্তি। দিয়েছেন পঞ্চ ইন্দ্রিয়শক্তি। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা এবং তক। আর সেই সঙ্গে গড়িয়ে দিয়েছেন, একটি সুন্দর মুখমন্ডল। বিশেষ করে মেয়েদের রূপরাশি এবংপরিপূর্ণতায় সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন, যার সৌন্দর্য্যের অপার মহিমায় বাচ্চা, বুড়ো, জোয়ান প্রতিটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চুম্বকের মতো। কখনোবা মুগ্ধ বিস্ময়ে এতটাই অভিভূত হয়ে পড়ে যে,পলকমাত্র দৃষ্টিপাতেই আবেগের বশীভূত হয়ে প্রেমের পত্তন ঘটে হাবুডুবু খায়।শুধুমাত্র তরুণ যুবকই নয়, নবীণপ্রবীণপ্রতিটি......
প্রবাসে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ
তাহসিন হোসেন : ছায়ানটের সঙ্গে আমার আন্তরিক সৌহার্দ্যতা ছিল প্রায় সাড়ে চার বছর। নিজে রবীন্দ্রনাথের গান করার পাশাপাশি আমার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং জ্যেষ্ঠ-অনুজদের কণ্ঠে নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত, লালন, শাস্ত্রীয় সংগীত, যন্ত্রসংগীত এবং কবিতার মূর্ছনায় নিজেকে এমনভাবে অভ্যস্ত করে নিয়েছিলাম যে ছায়ানটে গেলে মনে হতো এটিই বুঝি আমার প্রাণশক্তির আঁধার। শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাঁতের শাড়ি পরে কপালে ছোট্ট টিপ আর বাম কানের পেছনে কাঠের নকশায় খচিত কাটায় বাঁধা খোঁপা—এ যেন কিছু টুকরো ভালো লাগা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঢাকার শহুরে যান্ত্রিক জীবনে। শুক্রবার সকালে ক্লাস......
মোহাম্মদ আবদুল মালেক : অভিবাসী জীবনে অনেক কিছুই মনে পড়ে, যা দেশে থাকাকালে মনের আড়ালেই ছিল। কোথায় পড়েছি জানি না, ‘বিয়ে করলে প্রেম মরে যায়’। এখানে লেখক হয়তো মানব মিলন বুঝিয়েছেন। কিন্তু বস্তু জগতেও তার মিল পাওয়া যায়।
যেমন লন্ডনে আসার পর আমাদের মাইজ্যা পুকুরের কথা শুধু মনে পড়ে। এ পুকুরকে যে এত ভালোবাসতাম তা অন্তরে মৃতের মতোই ছিল। ওখানে জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরা, এখন স্মৃতির মধুময় ভাবনা।
অনেক ছোট বয়সে শরতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে চিংড়ির দল ঘাটের কিনারে এসে কিলবিল করত আর আমরা ভাইর (ঝাজনি) দিয়ে চিংড়িগুলোকে ধরতাম।
বর্ষার দিনে পুকুর পানিতে টইটম্বুর করত। বন্ধুরা মিলে এই পানিতে......
রাখাইন রাজ্য খালি করে রোহিঙ্গাদেরকে ভারতে পুশ ইন করার সিদ্ধান্ত ছিলো চীন-মিয়ানমার সরকারে। বেগতিক দেখে চীনে মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শেখ হাসিনা সরকার ভারতের অনুগত থাকায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে মোদী সরকারের সমস্যা হয়নি।দূর্বল বাংলাদেশকে স্থায়ী চাপের মধ্যে ফেলায় বাংলাদেশ সরকার রাজী হয়ে যাওয়ায় দিরিদ্র বাংলাদেশ আরো গরীব হবার দায় কাঁধে নিলো।ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশ হলো ভুক্তভোগী।
এই চাপ বাংলাদেশের উপর এনে সরকারের উপরের পর্যায়ে লোভ লাভ থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে উঠছে দিনের পর দিন।রোহিঙ্গাদেরকে সরিয়ে......
আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়নে প্রবাসীরা উপেক্ষিত
দেলোয়ার জাহিদ: দৈনিক ইত্তেফাকে (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ) আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক ড. এম এ সোবহান, যিনি বাংলাদেশ পুলিশ এর স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন (ব্যাটালিয়ন-১) এর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার- তার সুচিন্তিত একটি লেখা পড়লাম. বিদগ্ধজনচিত এ লেখাটি পড়ে এ বিষয়ে প্রবাস থেকে মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে তা তুলে ধরতেই এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়ন এর অর্থ আমাদের অবশ্যই বোধগম্য আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রবাস থেকে আমাদের প্রায় সবাই বেশ ব্যথাতুর করে।সত্যিকথা, আমরা টিভিসংবাদগুলোকে কখনো কখনো এড়িয়ে যেতে চাই। কারন দেশে সংঘটিত অপরাধের ধরন এবং এগুলোকে সামাল দেয়ার......
ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম : আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার, আমরা অনেকে যাকে বার্মা বলেই বেশি চিনি, সেখানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চরম দমন-পীড়ন চলছে। গণহত্যা চলছে বললেও বাড়িয়ে বলা হয় না।
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নিরীহ রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, লুট করা হচ্ছে সহায়সম্পদ। প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার অসহায় রোহিঙ্গা সীমান্তের সব পয়েন্ট দিয়ে স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকছে।
ঘুম থেকে ওঠার পর আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এখন সবচেয়ে বেশি যে শব্দটা শুনি তা হল ‘রোহিঙ্গা’। অনেকেই তাদের......
জাহাঙ্গীর বাবু : কমলার মা, ভিখারিনী। আমার মায়ের বিয়ের পর তার গুপ্তচর। কমলার মা আমার নানা বাড়ি গেলে, মা, বেশি করে চাল আর টাকা দিতেন।
মা যখন আমাদের বাড়ীতে থাকতেন তখন কমলার মা কে দিয়ে সংবাদ পাঠাতেন নানুমামার কাছে, যেন নাইয়ুর নিয়ে যায়।
তার পর কতো বছর, আজো আমাদের বাড়ি আসে।আমার খবর নেয়।আমাকে বড় বাবা বলে।১৯৯৭ সালে আমি প্রথম প্রবাসে যাই,বাড়ির সামনের রাস্তায় তখন মা কাঁদছে, আত্মীয় স্বজনের চোখে মমতার অশ্রু।কমলার মা এলেন, তিনি কাঁদলেন।ঘোমটা টেনে হাত বাড়িয়ে আমার হাতে গুঁজে দিলেন বিশ টাকা।
বাসে বসে ঢাকায় আসার পথে আপন জনের ছবি গুলি......
"ছবি দেখে ছড়া নির্মাণ"
সুচিঃ
আসেন দাদা হাতটা ধরেন
আমি আপনার সুচি,
দুজন মিলে রোহিঙ্গাদের
করবো কুচি কুচি।
আপনে শুধু পাশে থাকেন
নেইতো ওদের মাফ,
দাদা চাইলে হতে পারেন
আমার পোলার বাপ!
দুজন মিলে মানবতার
পাঁছায় দিব বাঁশ,
বাঁশের উপর কাটবে জীবন
ওদের বারোমাস।
কেমন সাঁজা সাঁজলাম আমি
দেখেন দাদা চেয়ে,
বয়স বেশি কিন্তু দাদা
আমি কোমল মেয়ে!
দাদাঃ
তোমার রুপে নেইতো যাদু
আছে হিংস্র মুখ,
তোমায় দেখে মাঝে মাঝে
কাঁপে আমার বুক!
আশার কথা, খুনি তুমি
শুধুই মুসলমানের,
এ দিক থেকে বন্ধু তুমি
আমার প্রিয় প্রাণের।
রক্ত ঝরে যখন দেখি
......মগের জাতি আগে থেকেই দস্যু ছিল
নাজমুল ইসলাম মকবুল
নোবেল পেয়ে শান্তিতে ওই
মায়ানমারের সুচি
জবাই করে মানুষ মেরে
করছে কুচি কুচি।
বসত ভিটায় আগুন দিছে
গ্রামের পরে গ্রাম
মানুষ পুড়ে উল্লাস করে
মগ যে ওদের নাম।
মগের জাতি আগে থেকেই
দস্যু ছিল জানি
লুটপাট করে মানুষ মেরে
চলত জিন্দেগানী।
মগের মুল্লুক কথা কিন্তু
ওখান থেকেই আসা
হিংসার লেলিহানে দেখি
ভেতর ওদের ঠাসা।
ওদের দাঁতে লেগে আছে
মানুষেরই রক্ত
বিষদাঁত ওদের ভেঙ্গে দিতে
ঐক্য গড়ো শক্ত।
নির্মমভাবে শিশু মারে
দেখে বিশ্ববাসী।
মানুষ মেরে কোন বিবেকে
করে হাসাহাসি।
আন্তর্জাতিক......
সালাহউদ্দিন আহমেদ: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ববাসীর কাছে দিনটি ৯/১১ বলে পরিচিত। ৯/১১ বিশ্ববাসীর মতো আমার কাছেও এক ভয়াবহ স্মৃতি, ভয়ানক আর মর্মান্তিক ট্রাজেডী। দিনটি ছিলো শনিবার। মনোরম ভোরের আকাশ কেটে সূর্য্যরে রোদ্রোজ্জল আলোয় পৃথিবী জেগে উঠলো। চমৎকার আকাশ। এই আকাশ আর বাতাস দেখে কোন কিছু বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় ছিলো না যে, আজকের দিনটিই হবে পৃথিবীর অন্যতম ট্রাজেডীর দিন, ভয়াবহ অন্ধকারের দিন।
প্রতিদিনের মতো ঐদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি সকালের নাস্তা খেয়ে সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে যাচ্ছি। আমি তখন সাপ্তাহিক......
সাইফুর রহমান ছিলেন আপোসহীন রাজনীতিবিদ: পারভেজ সাজ্জাদ
হ-বাংলা নিউজ: নিউইয়র্ক: সাইফুর রহমান শুধু নামই নয়, একটি ইতিহাস। সততা, দেশপ্রেম এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপস করেননি প্রয়াত এ নেতা। কোনো কোনো সময় তিনি এমন সব অকাট্য সত্য কথা বলতেন, যা তার দলের নীতির বিরুদ্ধে যেত। সত্য বলতে কখনো কুন্ঠাবোধ করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন, নিউইয়র্ক বিএনপির সভাপতি ও তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ। তিনি বলেন, প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী......
ক্ষমা করো নির্যাতিত মুসলিম দুনিয়া
জাহাঙ্গীর বাবু
আরাকান,ফিলিস্তিন,সিরিয়ার
মুসলিম, ক্ষমা করো ভাই বোন,
তোমরা আছো কষ্টে, ভুখা,নাঙ্গা
আছি মোরা পশু কুরবানি,
ঈদের খুশীতে।
ক্ষমা করো,ক্ষমা করো,
লাঞ্চিত,নীপীড়ীত,অত্যাচারিত
মুসলিম ভাই বোন।
সৌদি আরব,আরব মুল্লুক
কাণ্ডারি ইসলামের ঝান্ডার
পরোয়া করেনা
মুসলিম নির্যাতনের!
ওরা পেয়ে গেছে জান্নাতের টিকেট
ওরা পেয়েছে আইয়াসীর খনি
তেল,সোনা,মখমলী হেরেম খানা।
ইসলাম, ইসলাম বলে
যারা মুখে তোলে ফেনা
ব্যাঙ্গ করছে,
কেন সাহায্যের হাত বাড়ায়না,
তারা বলেই খালাস,
উস্কানী ছাড়া কিছুই জানেনা।
তোমারা আছো কষ্টে,
আমি......
মনে পড়বে তোমায় কিংবদন্তী শিল্পী আব্দুল জব্বার
জাহাঙ্গীর বাবু : সময়টা সম্ভবত ১৯৮৬ সাল। তখন পড়তাম গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর এন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে।বাবা চাকরী করতেন রেলওয়েতে। থাকতাম আড়িখোলা রেলওয়ে ষ্টেশনের কোয়ার্টারে।বাসার পেছনেই কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ।কালীগঞ্জ তখন মসলিন কটন মিলের জন্য বিখ্যাত।মিলের শ্রমিকদের সন্তানরা পড়বে এখানেই তাই শ্রমিক কলেজ।৯০ এর পর ধ্বংস হয়ে যায় সেই মিল.সে যাই হোক ,ভূমিকা টানলাম কালীগঞ্জের কারণ সেখানেই কাটে আমার দুরন্ত কৈশর। অনেক স্মৃতি সেখানে।
বলেছিলাম সময়টা সম্ভবত ১৯৮৬ সাল।আমি কিশোর লুঙ্গি আর সেন্টু গেঞ্জি পরে সময় কাটতো শ্রমিক কলেজের লম্বা টিন শেড ক্লাস রুমের......
রিমি রুম্মান: নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলোয় গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। দুই মাসের এই দীর্ঘ ছুটিতে এখানকার মানুষগুলো সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী সপরিবারে ছুটে যায় দূরদূরান্তে অবকাশ যাপনে। শহুরে যান্ত্রিকতা, ব্যস্ততা আর কোলাহলের বাইরে পাহাড়, সমুদ্র, হ্রদ কিংবা গাছ-গাছালির ছায়াঘেরা নির্জনতার কাছাকাছি কোথাও। প্রস্তুতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে সপরিবারে বন্ধুরা মিলে দলেবলে ছুটে যাই আমরাও। দুই সপ্তাহ আগে সমুদ্রতীরে দিনভর কাটিয়ে পরের সপ্তাহে আবার পাহাড়ের খুব কাছে সারা দিনমান। গর্জনরত উত্তাল সমুদ্র আমায় যতটা না টানে, তার চেয়েও বেশি টানে স্থির-নিশ্চল......
ইমদাদ বাবু: নিউইয়র্ক : ডা. হেনরি উর চেম্বারে বসে আছি। সঙ্গে আমার মেয়ে। ডা. হেনরি একজন পেডিয়াট্রিক সার্জন। ছোটখাট গড়নের মানুষ। খুবই ভালো ও অভিজ্ঞ একজন ডাক্তার। সম্ভবত চাইনিজ। বলা যায় না কোরিয়ান বা জাপানিও হতে পারেন। আসলে বোঁচা নাক ও ছোট চোখের সব মানুষকেই আমার চাইনিজ চাইনিজ মনে হয়। আমি এদের কখনই দেশ অনুযায়ী আলাদা করতে পারি না। জানি না এ সমস্যা শুধু আমার একার নাকি অন্যদেরও। একটু পরেই আমার মেয়ের পায়ে একটি ছোট্ট অপারেশন হবে। যে কারণে আজ এখানে আসা। আসার পর থেকেই আমি টেনশনে রীতিমতো ঘামছি। বারবার পানি পান করছি। কিন্তু তারপরেও গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।
নিজে ভয় পেলেও একটু পরপর মেয়েকে......
জাহাঙ্গীর বাবু,সিঙ্গাপুর : নড়ছে শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ ,ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
হাড় গোড় মাংস পিন্ড ,দেখ দেখ ভাই প্রাণ টা যায়
সেকেন্ড আগেও সব ঠিক ছিলো।
হঠাত প্রকন্ড শব্দ,হৈ চৈ, মুহুর্তের জন্য পিন পতন নিরবতা
যেন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এক সুনসান নগরী,
কিছুক্ষন আগেও ছিলো জন সমুদ্র,চারদিক কেমন নিথর হয়ে গেলো ,
ভুমিকম্পে নয় গ্রেনেডের আঘাতে কতো গুলি প্রাণ কেড়ে নিলো ,
সে দিন একুশে আগষ্ট ছিলো।
চলছে জনসভা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বঙ্গ বন্ধু কন্যা মঞ্চে ভাষণে
কেঁপে উঠল জনসভা প্রকম্পিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ
গ্রেনেড হামলা, উচুতলার ভবন থেকে মুহু মুহু গুলি,
কারবালার......
অভিভাবকত্বের শাসনে মোড়া শিশু নির্যাতন
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল শিরোনামে মুখ পঞ্জির বুকে একটি ভিডিও দেখতে পেলাম। সিরিয়াসলি? ছোটবেলা এমন হয় কারও? এমন জঘন্য শাসনে মাখা আমাদের ছোটবেলা? নাহ, আমি জানি আমার মতো কিছু কিছু মানুষের ছোটবেলা এমন ছিল না।
কিন্তু জানতে ভুল হলো না (যদিও এই ভিডিওচিত্র আমাদের বাংলাদেশের নয়), যখন দেখতে পেলাম বাংলাদেশের কেউ কেউ এই অমানবিক শাসনের মাঝে নাকি নিজেকে দেখতে পাচ্ছে। কেউ বলছে খুব হাসি পাচ্ছে। কেউবা বলছে মাকে মেনশন করতে পারতাম যদি! এমন ছোটবেলা নাকি অনেকের ছিল।
শিশুরা যে এই সব ভুলেও ভোলে না, ভিডিওচিত্রটি দেখে নিজের অতীত মনে করা মন্তব্যকারীরাই তো তার প্রমাণ। এই শিশুটির আতঙ্কিত......
ইমদাদ বাবু: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র:
—এটা কি আপনার প্রথম বিয়ে?
—মানে কি? বুঝলাম না।
—আমিতো হিব্রু ভাষায় বলিনি। বাংলা বলেছি। নাকি ১০ বছরেই বাংলা ভুলে গেছেন?
—না, তা না। আসলে এ ধরনের প্রশ্ন আশা করিনি।
—আপনি কি আশা করেছেন, সেটা আপনার ব্যাপার। আজ আমি আপনাকে দেখতে এসেছি। আমার সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে কোনো প্রশ্ন না করে।
হে আল্লাহ এত দেখি ধাইন্না মরিচ। আমি তো ভেবেছিলাম পুকুরের পানির মতো শান্ত একটা মেয়ে।
আমি মেঘ। বাবা-মার একমাত্র সন্তান। দশ বছর আগে আমি বাবা-মার সঙ্গে ইমিগ্রান্ট হয়ে আমেরিকা যাই। ছোট খালা আমাদের নিয়ে যান। আমেরিকা......
রউফুল আলম: ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় আমার ল্যাবরেটরি সপ্তাহের সাত দিন চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা থাকে। আমাদের সবার কাছে চাবি থাকে। যে যখন ইচ্ছে তখনই গিয়ে কাজ শুরু করে দেন। দুনিয়ায় একেকজন মানুষ একেক সময়ে প্রোডাকটিভ। কেউ ভোরবেলায় পড়েন। কেউ পড়েন ভর দুপুরে। কেউ আবার মাঝরাত ছাড়া পড়তে পারেন না। গবেষণার বিষয়টাও এমন। তাই দিন-রাত সব সময় সেখানে প্রবেশাধিকার থাকতে হয়। আমার ল্যাবে কয়েকজন কাজ-পাগল তরুণ আছেন। তারা কখন ঘুমান আমি জানি না। ক্লান্তি তাঁদের স্পর্শ করে না। একটা ছেলে রীতিমতো ল্যাবকে ঘর বানিয়েছেন। কাজ ছাড়া তার কোনো কাজ নেই। তিনি পোস্টডক করছেন। আমেরিকান ছেলে। বয়স আটাশ।......
রিমি রুম্মান: নিউইয়র্ক : শৈশবের খেলার সাথি দিনাকে হিংসা হতো খুব। ওদের কত বড় পরিবার! নানা-নানু, মা, মামা-খালা সবাই একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকে। কী ভয়ানক আনন্দের জীবন ওদের। ভরদুপুরে যখন পুরো শহর নিথর হয়ে থাকত ক্ষণিকের জন্য, বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, আমি পা টিপেটিপে ছুটে যেতাম। দিনার নানাভাইয়ের বড় বাড়ি। ফুলের সুবাসময় বিশাল উঠোন। সেখানে আমরা ছুটোছুটি খেলতাম। অনেকটা খাঁচার পাখি ছাড়া পাওয়ার মতো। যেন বিশাল আকাশে ডানা ঝাপটে ওড়াউড়ি। ওদের ছাদে উঠতাম। যদিও সেখানে ওঠার কোনো সিঁড়ি ছিল না। তবুও বিপজ্জনকভাবে দেয়াল বেয়ে ওঠা। ছাদে নুইয়ে থাকা আতাফল, গাছের পাকা আতাফল খেতাম।......