হ-বাংলা নিউজ : ২১ আগস্ট এক রক্তাক্ত বিভীষিকাময় দিন। নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৬তম বার্ষিকী। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার বুকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেএী শেখ হাসিনা। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি জননেএী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে পারলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ মোট ২৩ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের মুল উদ্দেশ্য। এই হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অসংখ্য সাংবাদিক। আজও অনেক নেতাকর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মী দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেনি। আমরা এই নারকীয় সন্ত্রাসী গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্বরণ করি এবং এ হামলায় জরিত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।