হ-বাংলা নিউজ : বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ জোরদার করা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবছেন বরিস জনসন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ আসতে পারে। আমরা ইউরোপের ফ্রান্স ও স্পেনে এই দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছি। শঙ্কা হচ্ছে, আমাদের দেশেও দ্বিতীয় এই তরঙ্গ আসছে।’ অক্সফোর্ডের কাছে ডিডকটে নতুন ভ্যাকসিন সেন্টারে বরিস জনসন এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আবার লকডাউন হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। তিনি দ্বিতীয় দফা লকডাউন চান না। সামাজিক দূরত্ব জোরদারে গুরুত্ব দেন। তবে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক সতর্কতা জারি করে বলেন, সারা দেশে লকডাউন আবার চালু করা হতে পারে। গত জুনে লকডাউন আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতি আট দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার দ্বিগুণ হচ্ছে।
ওপেন ইউনিভার্সিটির ব্যবহারিক পরিসংখ্যান বিষয়ের এমিরেটস শিক্ষক কেভিন ম্যাককনওয়ে বলেন, সন্দেহাতীতভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
ইংল্যান্ডের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের বিভিন্ন এলাকায় গত মঙ্গলবার থেকে সামাজিক দূরত্ব জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার পারিবারিক মেলামেশার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নজরদারি করছে। রেস্তোরাঁ ও পাব খোলা রাখার সময় কমিয়ে আনছে। দেশটিতে ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ (মোটামুটিভাবে প্রতি পাঁচজনে একজন) স্থানীয় পর্যায়ে বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে।
লন্ডনের মেয়র বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার আরও ৪ হাজার ৩২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ৮ মের পর প্রথমবারের মতো এক দিনে করোনায় সংক্রমণ চার হাজার পার হলো।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার করোনার সংক্রমণ রোধে নতুন বিধিনিষেধ চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, তিনি বৃহত্তর পর্যায়ে লকডাউন আরোপ করতে চান না। তবে কঠোর সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রাখা জরুরি।
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন, ওয়েলস ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড ও লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টার্মার জরুরি বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।