সুব্রত চৌধুরী, হ-বাংলা নিউজ, আটলান্টিক সিটি থেকে : নিউজারসি রাজ্য সরকার নির্দেশিত যথাযথ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্হ্যবিধি মেনে নিরানন্দ পরিবেশে অনাড়ম্বরভাবে নিউজারসির প্রবাসী হিন্দুরা দুর্গাপুজা উদযাপন করেছে।গত ২২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে দুর্গাপুজা শুরু হয় এবং ২৫ অক্টোবর, রবিবার দুর্গাপুজা শেষ হয় । করোনা মহামারীর কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ থাকে দুর্গাপুজার আয়োজন। করোনার জন্য আলোকসজ্জা , আরতি এবং কোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়নি। প্রবাসী হিন্দুরা যথাযথ স্বাস্হ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন মন্দিরে দুর্গাপূজায় অংশ নেয়,অনেকে পূজার সময় অঞ্জলি নিয়েছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে।
করোনার কারনে এবার দুর্গাপুজায় প্রবাসী হিন্দুদের কারো মনে উৎসবের কোন আমেজ ছিল না, ছিল না কোন ধরনের প্রান চানচল্য, অনেকটা নিরানন্দ পরিবেশে অনাড়ম্বরভাবেই তাঁরা এবারের দুর্গাপুজা উদযাপন করেছেন।
নিউজারসির সমারসেট,ব্রনসউইক টাউনশীপ,আটলান্টিক সিটি ,ফ্রাংকলিন টাউনশীপ সহ অন্যান্য শহরের বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে দুর্গাপুজার আয়োজন করা হয়েছিল।
দহনকালের দুর্গাপুজা নিয়ে প্রবাসী হিন্দুদের মনোজগতে খেদের অন্ত ছিল না। এই প্রতিবেদকের কাছে তাঁরা প্রকাশ করেছেন তাদের খেদোক্তি।
কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষট রতন ভট্টাচার্য ও তাঁর সহধর্মীনি সোমা ভট্টাচার্য বলেন, দহনকালে করোনাতংকে এবছর দুর্গোৎসবে ছেদ পড়লেও মায়ের কাছে প্রার্থনা তিনি যেন করোনাসুরকে নিধন করে বিশ্বে সুখ, শান্তি ফিরিয়ে আনেন, আর আমরাও নতুন করে বাঁচার প্রেরনা পাই।আগামী বছর যেন পূজার আনন্দে মেতে উঠতে পারি।
প্রবাসী এিসন্ধ্যা দও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার কারনে অজানা আতংকে এবার দুর্গোৎসবে মেতে উঠতে পারিনি ঠিকই,তারপরও নিজেদের মতো করে পূজার ক’টা দিন আনন্দে মেতে ছিলাম।আমার বিশ্বাস অন্ধকারের পর আলো ফুটবেই, সেই আলোর ফলগুধারায় আগামী বছর আবার মেতে উঠবো পূজার আনন্দযজ্ঞে।মা যেন আমার সেই প্রার্থনা পূরন করেন।
প্রবাসী রূপন মল্লিক বলেন, করোনার কারনে এবার ঘরোয়াভাবেই পূজার ক’টা দিন পারিবারিকভাবেই উদযাপন করেছি। মায়ের কাছে প্রার্থনা, বহু বছর আগে মা যেমন করে অসুর বধ করেছেন ঠিক তেমনি ভাবে করোনাসুরকে দমন করে বিশ্বে সুখ, শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। আর আমরাও মেতে উঠবো নতুন করে বাঁচার আনন্দে।
প্রবাসী প্রবীন হিতৈষী জোছনাময় সিকদার মায়ের কাছে মিনতি জানান,বিগত সময়ে মা দুর্গা অসুর নিধনের মাধ্যমে যেভাবে মানবজাতি ও মানব সভ্যতাকে রক্ষা করেছেন,এবারও ঠিক তেমনি করে করোনাসুরকে দমন করে মানব জাতি ও মানব সভ্যতাকে রক্ষা করবেন।
প্রবাসী পুতুল মিএ সবাইকে বিজয়ার শুভেচছা জানিয়ে বলেন, করোনার ভয়ংকর ছোবল থেকে সবাই মুক্ত থাকুক এটাই দুর্গা মায়ের কাছে একান্ত কামনা ।এছাড়া মায়ের কৃপায় ধরনী তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হোক – দুর্গা মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা