হ-বাংলা নিউজ : বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে উদ্যোক্তা হিসেবে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংগঠন মুসলিম এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন (এমইএ)।
করোনা মহামারিতেও কমিউনিটির পাশে থেকেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এমইএ। এ সময় এই সংগঠনের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার নিয়ে ছুটে গিয়েছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
এমইএর সদস্য ফারহানা আখতার বলেন, মহামারি শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন শুরু হয়। ঘর থেকে বের হতে না পারায় সাধারণ মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন কাটায় সে সময়। তখন সাহায্যপ্রার্থীদের জন্য আমরা হটলাইন সার্ভিস চালু করি। পরে আমরা ডোর টু ডোর খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে শুরু করি। এভাবে দুই হাজারের অধিক মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে এমইএ।
এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী মুসলিম পেশাদার ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পডকাস্ট/ওয়েবিনার সিরিজ চালু করে চার হাজার ডেডিকেটেড সদস্যদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে এমইএ। এঁদের মধ্যে পাঁচজন আছেন ডেডিকেটেড ইনভেস্টর হিসেবে।
চলতি বছর পেনসিলভানিয়ায় মারিফাহ রেসিডেনসিয়াল ক্যাম্পে তিন দিনব্যাপী মুসলিম এন্টারপ্রেনারশিপ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনভেনশনে ব্যবসাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ী নেতা ভার্চ্যুয়াল প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
এমইএর এই কনভেনশনে সাতটি স্টার্ট আপ কোম্পানিসহ তিনজন নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন।
এমইএ কমিউনিটির মানুষের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে কমিউনিটির পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঈদের দিন শিশুদের মুখ যেন মলিন না থাকে, এ জন্য শিশুদের মাঝে খেলনা বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৯ সালে আমেরিকার স্থানীয় নির্বাচনে মুসলিম নারী প্রার্থীদের সমর্থন করে নির্বাচনী ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলোও পরিচালনা করে এমইএ।
এমইএর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ গালিব রহমান বলেন, বিশ্বের সব মুসলিম উদ্যোক্তাদের একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে একে অপরের ব্যবসায়িক সমস্যা দূরীকরণ ও সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করা।
এ ছাড়া বিশ্বের গৃহহীন মানুষদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা।
বিশ্বজুড়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে দক্ষ তরুণেরা সহজেই নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
প্রায় চার হাজার সদস্যের এই সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল রহমান। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ গালিব রহমান। বর্তমানে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ এবং জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও করছেন।