হ-বাংলা নিউজ : করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন হলো। নির্বাচনের আগে সর্বশেষ আলোচনাতেও এ বিষয়ে সম্মত হতে পারেনি কংগ্রেস। এখন নির্বাচনের পর বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, সিনেটে কোন দল নেতৃত্ব দেবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। ফলে পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে জর্জিয়ার সিনেট নির্বাচনের ওপর, যা আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনজে-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জানুয়ারি মাসে জর্জিয়ার দুটি সিনেট আসনে নির্বাচন হবে। দুটি আসনেই ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে সিনেটে দুই দলের প্রতিনিধিত্ব সমান-সমান হবে। প্রেসিডেন্সি জয় করায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ তখন চলে যাবে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। কারণ, টাইব্রেকার হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের তখন একটি ভোট থাকবে।
হ্যাঁ, তার আগেই অবশ্য বর্তমান সিনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল কম তহবিল দিয়েই প্রণোদনা বিলটি পাস করে ফেলতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে গণভোটের দাবি তুলে বিষয়টি আটকে দিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। এ কারণে নতুন সিনেট গঠিত হওয়ার আগে এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা তেমন নেই বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাইডার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেবোভিচ ইনস্টিটিউট ফর নিউজার্সি পলিটিকসের পরিচালক মিকাহ রাসমুসেন এনজে-কে বলেন, ‘জর্জিয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডেমোক্র্যাটরা যদি সেখানে দুটি আসনেই জয় পায়, তবে প্রণোদনা প্যাকেজ পাস হয়ে যাবে। আর যদি এমন কোনো চেকের আশা আপনারা ছেড়ে দিয়ে থাকেন, তবে ম্যাককনেলের পক্ষেই দাঁড়াতে পারেন।’
মার্কিনরা এই মুহূর্তে দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এ সম্পর্কিত এক জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৮ শতাংশই বিদ্যমান কংগ্রেস থেকেই এ ঘোষণা প্রত্যাশা করে। মাত্র ১১ শতাংশ এ ক্ষেত্রে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়। তবে মাত্র ১৯ শতাংশ বলেছে, প্রস্তাবিত প্রণোদনা প্যাকেজে তারা সন্তুষ্ট।
এই শেষ তথ্যটিই বলছে, রিপাবলিকানদের প্রস্তাব করা প্রণোদনা প্যাকেজটিকে অধিকাংশ মার্কিন গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। তারা এর চেয়ে বেশি চায়, যেমনটি প্রস্তাব করছেন ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্র্যাটদের এই দাবির মুখেই আটকে গিয়েছিল প্রণোদনা প্যাকেজটি। আর রিপাবলিকানরা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল ব্যবসায়ীদের। সিনেটের নেতৃত্ব যার হাতেই যাক, তাকে এ ক্ষেত্রে একটি সমন্বয় ঘটাতে হবে। দুই পক্ষের স্বার্থই দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে।
তথ্যঃ সংগ্রহীত