হ-বাংলা নিউজ : যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার পর সবার জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন এমন সময় একথা জানালেন যখন দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ছাড়া যেকোনো অভ্যন্তরীণ স্থানেও মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছে। সিডিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চমাত্রার সংক্রমণ পর্যায়ে পৌছেঁছে।
শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৪৩ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষের।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের উদ্বেগের কারণে তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান খুব বড় আকারের হবে না। এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘আমার ধারণা এখনো অনুষ্ঠানটি হবে। তবে কীভাবে হবে এটা আমি জানি না।’
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্না জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত করোনা টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। উভয় কোম্পানিই যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে বক্তব্য প্রদানকালে বাইডেন বলেন, ‘সবার জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণকে সঠিক কাজটি করতে উৎসাহিত করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, ৬০ শতাংশ আমেরিকান করোনভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাইডেন সিএনএনকে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনতে আমেরিকার জনগণকে তার দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন মাস্ক পরার জন্য বলবেন। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে আমি সবাইকে বলব, আপনার সবাই ১০০ দিনের জন্য মাস্ক পরে থাকুন, সারা জীবনের জন্য নয়, মাত্র ১০০ দিনের জন্য।’
জনগণের সুরক্ষার উদ্বেগ নিরসনের জন্য টিকা নিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান জো বাইডেন। তিনি মনে করেন, টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হলেই যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে।