হ-বাংলা নিউজ : পণ্য বিক্রির একাধিক ফেইসবুক পেইজ খুলে গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরা হলেন- রকি বিশ্বাস (২৫), মো. হেকমত আলী (২৭), মো. কচিবুর রহমান (২২), শিমুল মণ্ডল (২৭), মো. আনিছুর রহমান শেখ (২৯) ও মো. মাজহারুল ইসলাম (২৪)।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে রোববার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০২টি বুকিং মেমো, ১১৭টি পণ্য বিক্রির ক্যাশ মেমো, বিভিন্ন রঙের ব্যবহার অযোগ্য ৪৬ জোড়া জুতা, ভাঙা ১২টি মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ফেইসবুকে দারাজ অনলাইন, দারাজ অনলাইন ৭১, দারাজ অনলাইন শপ, দারাজ এক্সপ্রেস, দারাজ অনলাইন বিডি, ফ্যাশন জোন, গ্যালাক্সী ২৪, অনলাইন মোবাইল গ্যালাক্সী, শপিং সেন্টার নেট, শপিং জোন বিডি, শপিং ডেলস, স্মার্ট শপ বিডি, উইনটার কানেকশন, সোনিয়া ফ্যাশন হাউজ, সু বাজার ডটকম, ফ্যাশন হাউজ ২৪, চায়না ফ্যাশন বিডি, বিডি ফ্যাশন শপসহ বিভিন্ন নামে পেইজ খুলে কম টাকায় ভালো মানের পণ্য বিক্রির লোভ দেখিয়ে খারাপ পণ্য সরবরাহ করে প্রতারণা করে আসছিল।”
রকি ও হেকমত আলী ১৬টি, কচিবুর পাঁচটি এবং শিমুল এ ধনের তিনটি ফেইসবুক পেইজ চালাতেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
হাফিজ আক্তার বলেন, “কোনো ব্যক্তি ছবি দেখে ভালো মানের পণ্য অর্ডার করলে অর্ডার নিশ্চিত হওয়ার পর তারা নকল বা ভাঙ্গা বা নষ্ট ও অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের সামগ্রী প্যাকেট করে এসএ পরিবহন ও কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা করে আসছে। এই চক্র সাধারণত মোবাইল, জুতা ও কাপড় সামগ্রী সরবরাহের নামে প্রতারণা করে আসছিল।
“কেউ অর্ডার কনফার্ম করলে ভাঙা নিম্নমানের মোবাইল তাছাড়াও গাউছিয়া ও নিউ মার্কেটের সামনের ফুটপাতের থেকে নিম্নমানের পোশাক কিনে সরবরাহ করত।”
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত রাকিব নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, অনলাইনে ১৫ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের মোবাইল ৭ হাজার ৭০০ টাকায় দুটি দেওয়া হবে- এমন লোভনীয় বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে টাকা দিয়ে তিনি ভাঙা অকেজো দুটি মোবাইল পেয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন বলেন, “অনেক সময় এই চক্রটি প্যাকেটের ভেতর শুধু কাগজ পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ পেয়েছি।”
একটি জিডির তদন্ত করে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানান হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শপিংমল বন্ধ থাকায় এবং লোকজনের ভিড় এড়াতে অনেকেই অনলাইনে জুতা, জামা-কাপড় অর্ডার করতেছে আর এই প্রতারকরা সেই সুযোগে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেছে।”
সবাইকে অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তথ্যঃ সংগ্রহীত