হ-বাংলা নিউজ : বাংলাদেশের বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ পদে বিদেশি নাগরিকদের নয়, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদেশে বসবাসরত মেধাবী বাংলাদেশিদের সুযোগ সৃষ্ট করে করবে বাংলাদেশ সরকার।
লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’র ভার্চুয়াল আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ আশ্বাস দিয়েছেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বাইরে বসবাস করেন, তাদের জন্য বাংলাদেশে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। আপনার ও আপনার পরের প্রজন্মের জন্য, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ তৈরির জন্য অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। আপনাকে বাংলাদেশে বসে থেকে কাজ করার দরকার নাই, যেভাবে বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা আউটসোর্সিং করে তেমনি করে বিদেশে অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি ডিজটাইজেশনের যুগে বিদেশে বসেই বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ পাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা ও আবাসিক হলে ফ্রি-ওয়াইফাই সুবিধা চালুর ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্ট আকর্ষণ করলে, মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী জানান, গত ১৯ মার্চ থেকে সচিবালয়ের অফিসে যাওয়া হয়নি, কিন্তু একটা ফাইল পেন্ডিং নাই। প্রযুক্তির কল্যাণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বন্যা, খড়া ও দুর্যোগের দেশ নেই। বাংলাদেশ দুর্যোগের সংকট কাটিয়ে মানবিক রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের ভরন-পোষন করা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্বব। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে আরেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে দাবি জানান তিনি।
‘বার্থ অফ এ নেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন টেন মিনিট স্কুলের ইংলিশ ট্রেইনি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শেভিনিং স্কলার মুনজারিন শহিদ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে প্রথম বর্ষেই তাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য তুলে দেওয়া হলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে তাদের ধারণা পরিস্কার হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গলিতে রয়েছে ইতিহাস। সেই সাথে মেধা পাঁচার রোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে পরিচালন পরিষদের সদস্য, থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবেগের জায়গা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম মাত্র খরচে পড়াশোনা করার জন্যই আজ আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের মাধ্যেম আমরা আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে চাই।
বিজয় দিবসের আলোচনায় একটি জাতীর জন্মের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মৃতিচারণ করেন সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ বদরুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ক্লাব ইউকের পক্ষ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ডক্টর আশরাফ উদ্দীন, লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক ইউকের সাবেক প্রধান নির্বাহী আমীরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার অজয় রায় রতন, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান তালুকদার, শায়লা শিমলা, পলি জাহান, ফাতেমা লিলি, ঝুমুর দত্ত, রেহানা ফেরদৌস মনি ও ইমা সুলতানা চারুসহ অন্যরা।
৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন প্রতিযোগীতার বিচারক এইচ এস বিসি গ্লোবালের ওয়েব কন্টেন্ট ম্যানেজার মাসুদ মিজান।
তথ্যঃ সংগ্রহীত