হ-বাংলা নিউজ : করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্মুখ যোদ্ধা বা সামনের সারিতে কাজ করা শত শত অভিবাসী কর্মীদের দ্রুততম সময়ে বা প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর বলা হয়েছে।
এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সহায়তা কাজে অংশগ্রহণকারী বাসিন্দাদের দ্রুত স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছিল।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতশোর বেশি মানুষ এরইমধ্যে নাগরিকত্ব গ্রহণ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। এদের মধ্যে পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং দোকান মালিক রয়েছেন।
বিশ্ব জুড়েই সামনের সারিতে থাকা কর্মীরা সবচেয়ে বেশি হারে কোভিড-১৯ এর সংস্পর্শে এসেছেন। এদের মধ্যে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক চিকিৎসক এবং নার্সরাও মারা গেছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার নাগরিকত্ব বিষয়ক জুনিয়র মিনিস্টার মারলিন শিয়াপ্পার দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী, নারী পরিচ্ছন্নকর্মী, শিশু পরিচর্যা কর্মী ও চেকআউট কর্মীদের সবাই এই দেশের প্রতি তাদের অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার প্রমাণ দিয়েছেন। আর এখন এই প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব তাদের জন্য কিছু করা।’
সাধারণত ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেতে হলে দেশটিতে টানা ৫ বছর বসবাস করতে হয়। একইসঙ্গে একটি স্থিতিশীল আয় এবং ফরাসি সমাজে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে হয়। কিন্তু সরকার বলছে, কোভিড-১৯ এর কর্মীরা “তাদের মহান সেবা” কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফ্রান্সে মাত্র দুই বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
উল্রেখ্য, ফ্রান্স বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৬২ হাজারের মতো মানুষ।
তথ্যঃ সংগ্রহীত