হ-বাংলা নিউজ : নিউইয়র্ক নগরের ডিস্ট্রিক্ট ২৪ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও জ্যামাইকার মিউচুয়াল এইড গ্র্যাসরুটস্–এর সংগঠক মৌমিতা আহমেদ। সাবেক কাউন্সিলম্যান ররি ল্যানকম্যান (ডি-ফ্রেশ ম্যাডোস) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করায় এখানে নির্বাচন হচ্ছে। এই আসনে বিজয়ী প্রার্থী আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নিউইয়র্ক সিটি ক্যাম্পেইন ফিন্যান্স বোর্ডের তথ্যমতে, নির্বাচনে মোট নয়জন প্রার্থী ইতিমধ্যে ল্যানকম্যানের আসনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন। এঁরা হলেন— মৌমিতা আহমেদ, স্ট্যানলি এন আরডেন, জেমস এফ জেনারো, নীতা জৈন, দিলীপ নাথ, দীপ্তি শর্মা, সোমা সৈয়দ, মোহাম্মদ এস উদ্দিন ও সান্ড্রা উং। নির্বাচনে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট ২৪–এ কিউ গার্ডেনস হিলস, পমোনোক, ইলেক্টচেষ্টার, ফ্রেশ মেডোস, হিলক্রেষ্ট, জ্যামাইকা এস্টেটস, ব্রায়ারউড, পার্কওয়ে ভিলেজ, জ্যামাইকা হিলস্ এবং জ্যামাইকার আশপাশের অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরিবারসহ ভাড়ায় দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে লড়াই করে জীবনযাপন করা মৌমিতা স্বল্প আয়ের আবাসনের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন বেশি। তিনি বলেন, ‘আমিই সেই ব্যক্তি যে ভাড়া দিতে না পেরে উচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়ার উদ্বেগ সম্পর্কে বুঝতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ভাড়াটেদের অধিকার নেই, তাঁরা অবহেলিত এবং অগ্রাধিকার পায় না।
মৌমিতা মনে করেন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপাররা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিনিয়ররা এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট সন্তান ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। বাড়িওয়ালারা অবৈধভাবে বেসমেন্টে থেকে ভাড়াটিয়াদের নানাভাবে শোষণ করছে। ডেভেলপাররা আসছেন, কিন্তু ভবনগুলোতে কোনো সহায়তা বা মেরামত করছেন না, বরং ভাড়াটেদের জোর করে বের করে দিচ্ছেন, যাতে বাড়িওয়ালারা বেশি মূল্যে অ্যাপার্টমেন্টগুলো ভাড়া দিতে পারেন।’
নগরের পাবলিক স্কুল ব্যবস্থার প্রসঙ্গে মৌমিতা বলেন, এনওয়াইপিডি থেকে শিক্ষার জন্য অর্থায়ন পরিবর্তন যুব কর্মসূচি তৈরি ও জরাজীর্ণ ভবনগুলো পুনর্নির্মাণ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘অর্থায়নে, বিনিয়োগে বিশেষায়িত উচ্চবিদ্যালয় গুলোকে আরও বৈচিত্র্যময় হওয়া দরকার।’
মৌমিতা বলেন, ‘শুধু সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বছরের পর বছর ধরে আমি কাজগুলো করে আসছি। আমি নিখুঁত জীবনবৃত্তান্ত দাবি করি না, তবে আমি কীভাবে লোকদের সংগঠিত করতে হয় এবং সঠিকভাবে নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হয়, তা জানি।’
আট বছর বয়সে মৌমিতা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং জ্যামাইকাতে বসবাস শুরু করেন। তিনি পিএস ১৩১, জেএইচএস ২১৬ এবং ব্রঙ্কস হাই স্কুল অফ সায়েন্সে পড়াশোনা করেন।
সিটি কাউন্সিলের পক্ষে প্রার্থী হওয়ার আগে মৌমিতা একাধিক স্থানীয় গ্রিনরুটস্ আন্দোলন অংশ নেন। যেমন, নিউরিফর্মারস পিএসি, বাংলাদেশি আমেরিকানস ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস (বিএপিপি) এবং কুইন্স মিউচুয়াল এইড নেটওয়ার্ক। তিনি বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারেও কাজ করেছেন এবং কংগ্রেসওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজকে গ্রিনরুটস্ আন্দোলনে আনতে সহায়তা করেন।
তথ্যঃ সংগ্রহীত