হ-বাংলা নিউজ : ক্রোয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের অন্তত ৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর।
পেত্রেইনিয়া শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য এলাকাটিতে সেনাও পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবারের এ ভূমিকম্পে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবসহ কেঁপে উঠেছে প্রতিবেশী বসনিয়া, সার্বিয়া ছাড়াও আরও দূরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এমনকী ইতালিও।
জাগরেবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের পেত্রেইনিয়া শহরই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বলে জানিয়েছে জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস।
ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, কাছের গ্লিনা শহরের মেয়র সেখানে চারজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
পেত্রেইনিয়ায় ১২ বছরের একটি শিশু মারা গেছে বলে শহরটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনওয়ান নিউজ চ্যানেল।
এছাড়া, পেত্রেইনিয়া এবং সিসাক শহরে আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসাকের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রধান।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পেত্রেইনিয়ায় গেছেন।সেখানে এখন পর্যন্ত এক মেয়ে নিহত হওয়ার তথ্যই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনিও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী সেখানে আছে। শহরটি অনিরাপদ হওয়ায় সেখান থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানান তিনি।
সিসাক শহরের হাসপাতাল প্রধান আহত ২০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনওয়ান নিউজ চ্যানেলের ফুটেজে পেত্রেইনিয়ায় উদ্ধারকারীদেরকে ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবীত এক শিশু এবং এক ব্যক্তিকে টেনে বের করে আনতে দেখা গেছে। অন্যান্য ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। তবে ভেতরে কেউ আছে কিনা তা জানা যায়নি।
ভূমিকম্পের দুঘণ্টার মধ্যেই পেত্রেইনিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিজ চোখে দেখেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই।
২০ বছর আগে রাশিয়ায় চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি অবরোধের সময়কার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে পেত্রেইনিয়ায় ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞের তুলনা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
তথ্যঃ সংগ্রহীত