হ-বাংলা নিউজ, শাহ্ শহীদুল হক (সাঈদ) : মার্কিন লুথার কিং পৃথিবী থেকে দাস প্রথা, সাদা আর কালো বর্ণ বৈষম্যের সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। পৃথিবীর প্রাচীনতম দাস ব্যবসায়ীগণ আজো তাদের শিকড় রেখে গিয়েছেন। কিন্তু ডঃ মার্টিন লুথার কিং গণ জন্ম নিয়েছেন অনেক ঘরে। ১৯২৯ সালের ১৫ই জানুয়ারী জর্জিয়ার আটলানটায় জন্ম নিয়েছিলেন এই জ্যোতিময় সিংহ পুরুষ। যার হৃদয়ে ছিল ভালবাসা, সাম্য, সমতা, একতা ও মানবতার কথা, তিনি স্বপড়ব দেখেছিলেন আকাশের উদারতার দীপ্তীময় স্ফুলতা যে মহাকাশের উদারতায় পৃথিবী উদীয়মান হয় যে আকাশের উদারতা লইয়া পৃথিবী ঐশ্বর্য্যে পরিপূর্ণ হয়ে ফুলের সুগন্ধ ছড়ায় মানব কুল হয় যুতিময়। সে আকাশের পানে চেয়ে তার গান ছিল এসো বর্ণ বৈষম্যের হিং¯্রতাকে বাদ দিয়ে শান্তির পথে এসো। কালো আর ধলা বাহিরে কেবল ভিতরে সবারই সমান বাঙ্গা। তিনি হলেন আগামীদের সমস্ত পৃথিবীর শিশুদের মধ্যে থাকবে সমান অধিকার, জর্জিয়া হতে নিউইয়র্ক তথা সমস্ত পৃথিবী। ১৯৬৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর আব্রাহাম লিংকন দাস প্রথা আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্যি দুজনই আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন। আমরা আজো বর্ণবৈষম্য ও দাস প্রথার স্বীকার, সাম্প্রতিক আমেরিকান গণতন্ত্র ও ক্যাপিট্যাল হিলের ন্যাঙ্কর জনক ঘটনা তার নিকৃষ্ট উদাহারন।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক, কুইন্স বরো হলের মধ্যে কোন এশিয়ান আমেরিকান আমলা আছে বলে আমার জানা নেই। আর যদিও থেকে থাকে বা এখন আমলা তন্ত্রের শিকড়ে বাধা যখনই ভোটের সময় হয় তখন দেখা যায় ফান্ড রাইজিং ডিনার এবং ফটোসেশন, ক্ষমতায় থেকে আজ পর্যন্ত কোন বাঙালীকে বরো চাকুরী দেয়া হয়নি। এমনকি কম্যুনিটি বোর্ডের মেম্বার করতে গিয়ে সেখানেও দেখা গেছে বর্ণ বৈষম্য। জনাব ডনোভ্যান রিচার্ড এই প্রথম বর্ণ বৈষম্য দূর করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ করে দিলেন, মনে হয় আরেক মার্টিন লুথার কিং এর উদয় হলো। ধন্যবাদ জনাব, ডনোভান রিচার্ডস আপনার কর্মের দীপ্তী নতুন পথের পাথেয় হয়ে থাকুক। আমরা চাই সকল জাতীয় সংমিশ্রনে কুইন্স বরো হল আলোকিত হউক দূর হয়ে যাক আমলাতন্ত্র এবং বণ্য বৈষম্য। মূল্যায়িত হউক সকল প্রতিভা এবং মানবাধিকার।