মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, হ-বাংলা নিউজ : নোয়াখালী জেলার সেনবাগের জয়িতা আফরোজা ম্যাডাম জীবিত, তবুও নিতে হলো জীবিত থাকার সনদ।

বিব্রত হবো, আফসোস করবো, নাকি করবো আক্ষেপ ! এ সব সম্ভবের দেশ, আমাদের দেশ, সোনার বাংলাদেশ। কোন কোন ভূল মানুষের ভুলে ,দোষীর তালিকায় উঠে ব্যক্তি, সংগঠন ,প্রতিষ্ঠান,দল ,এমনকি সরকার । সম্প্রতি সেনবাগ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুনাম ধন্য শিক্ষক আফরোজা বেগম করোনা ভ্যাক্সিন এর টিকা গ্রহণের উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করতে গিয়ে জানতে পারেন, নির্বাচন কমিশনের হাল নাগাদের তালিকায় তিনি মৃত ।

সঙ্গত কারনে তাকে নিতে হয়েছে জীবিত থাকার সনদ। ব্যাপারটি ফেসবুকে দেখে জানতে পারি, সে দিন স্টাটাস ছিলো আফসোস আর আক্ষেপের ,আজ জানলাম তিনি তার আবাসিক এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার ও পৌরসভার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। আজকে তার স্টেটাসটা প্রাপ্তির।

বিদেশে যখন ছিলাম তখন ফ্রিল্যান্সিং এ লিখতাম গোটা বিশেক অনলাইনে ,যার মধ্যে ছিলো প্রথম ,দ্বিতীয় বা পরিচিত কম পরিচিত পত্রিকাও। দেশে মাল্টি ন্যাশনালিস্ট কোম্পানীতে ম্যানেজার বা ইনচার্জ পদপর্যাদার কাজ ম্যানেজ করতে গিয়ে আর তেমন লেখা হয় না. এক রকম দায়বদ্ধতা থেকে কিংবা কলমের দাবিতেই ধরলাম আফসোস আর আক্ষেপের শিরোনাম ” অবশেষে প্রমাণিত, সেনবাগের জয়িতা আফরোজা ম্যাডাম জীবিত ” ।
কে এই আফরোজা ম্যাডাম ?

একছেলে এক মেয়ে আর স্বামী মাসুদ ,সাংবাদিক হারুনের বোন. তিনি নিজেই নিজের পরিচয় নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ২০১৭ সালে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক “নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৭ উপলক্ষে জয়িতা অন্বষণে বাংলাদেশ কার্য্যক্রমের আওতায় শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সেনবাগ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ,আফরোজা বেগম ,গ্রাম -অর্জুনতলা ,সেনবাগ ,নোয়াখালী।

বর্তমানে তার আরেক পরিচয় আমরা জানি করোনা কালীন দুর্যোগে নিজ উদ্যোগে শুরু করেছিলেন অনলাইন ক্লাস।পরবর্তীতে তিনি পুরো নোয়াখালী জুড়ে অনলাইন ক্লাসের অনেকের মধ্যে হন অন্যতম ,তার আজকের দিন পর্যন্ত ১২৬ টি ক্লাস ইউটিউবে আপলোড আছে.শিক্ষকতায় ছাত্র/ছাত্রীদের ভীষণ প্রিয়,গান,কবিতা,পিঠা উৎসব সকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রয়েছে সরব উপস্থিতি।
আশাকরি আফরোজা ম্যাডামের মতো কাউকে আর বিব্রত হতে হবেনা,করতে হবেনা আফসোস আর আক্ষেপ।